প্রশ্নঃ বল কাকে বলে?
উত্তরঃ যা প্রয়োগে স্থির বস্তু গতিশীল হয় এবং গতিশীল বস্তুর বেগের পরিবর্তন হয় তাকে বল বলে।
আমরা বিভিন্ন প্রকার ব পেয়ে থাকি যার মধ্যে মৌলিক বল অন্যতম। এই মৌলিক বল আবার ৪ প্রকার। নিম্নে এদের সংজ্ঞাসহ আলোচনা করা হলোঃ
১। মহাকর্ষ বলঃ মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা পরস্পরকে যে বলে আকর্ষন করে তাকে মহাকর্ষ বল বলে।
মহাবিশ্বের দুটি বস্তুর মধ্যে একটি যদি পৃথিবী হয় তাহলে বস্তুদ্বয়ের আকর্ষন বলকে অভিকর্ষ বল বলে। অর্থাৎ পৃথিবীর সাথে মহাবিশ্বের যেকোন বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষন বল কাজ করে তাকে অভিকর্ষ বল বলে।
তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম যে অভিকর্ষ বল হতে হলে কোন বস্তুকে অবশ্যই পৃথিবীর সাথে আকর্ষন করতে হবে। আবার পৃথিবী যেহেতু মহাবিশ্বের একটি অংশ তাই অভিকর্ষ বলও মহাকর্ষ বলের একটা অংশ। কিন্ত পৃথিবী ছাড়া সকল বস্তুর আকর্ষন বল শুধুমাত্র মহাকর্ষ হলেও অভিকর্ষ নয়। তাই বলা যায় সকল অভিকর্ষ বলই মহাকর্ষ বল কিন্ত সকল মহাকর্ষ বল অভিকর্ষ নয়।
যেমনঃ চাঁদ ও সূর্যয়ের আকর্ষন বল শুধুমাত্র মহাকর্ষ বল কিন্ত পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যেকার আকর্ষন বল অভিকর্ষ বল ও মহাকর্ষ বল উভয়ই হতে পারে।
২।তড়িৎ চৌম্বকীয় বলঃ দুটি চার্জিত বা আধানযুক্ত বস্তুকণা চার্জ বা আধানের কারণে পরস্পরকে যে বলে আকর্ষণ করে তাকে তড়িৎ চৌম্বক বল বলে। এই বল মহাকর্ষ বলের তুলনায় ১০^৩৬ গুণ বড়।
৩। সবল নিউক্লিয় বলঃ যে শক্তিশালী বলের কারণে পরমাণুর নিউক্লিয়াসে নিউক্লিয়ন গুলো পরস্পর একত্রে আবদ্ধ থাকে তাকে সবল নিউক্লিয় বল বলে।
নিউক্লিয়ন বলতে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রনকে বোঝায়। এই বলের পাল্লা ১০^-১৫ মিটার। এই উক্ত দুরত্বে এই বল ক্রিয়া করতে পারে।
৪। দূর্বল নিউক্লিয় বলঃ যে দূর্বল বলের কারনে পরমাণুর নিউক্লিয়াসের নিউক্লিয়ন গুলো ভেংগে তেজস্ক্রিয় রশ্নি সৃষ্টি করে তাকে দূর্বল নিউক্লিয় বল বলে। এর পাল্লা ১০^-১৮ মিটার।